সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল করিমের ব্যক্তিগত সহকারী রিক্সার ড্রাইভার জহিরের দাপটে হুমকির সম্মুখীন সন্দ্বীপের স্বাস্থ্য বিভাগ....

অনুসন্ধান অফিস    |    ০৩:০০ এএম, ২০২০-০৭-১৮

পর্ব—8

সন্দ্বীপের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলুল করিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে পরিচিত রিক্সার ড্রাইভার ও কাজের লোক জহিরের স্বাস্থ্য বিভাগে অপতৎপরতা দিন দিন বেড়ে চলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্দ্বীপে স্বাস্থ্য বিভাগের আতঙ্ক ডাক্তার করিমের ব্যক্তিগত কাজের লোক জহির উদ্দিনের অপতৎপরতা সীমাহীনভাবে বেড়ে চলেছে। ব্যক্তিগত সহকারী জহিরের কাছে অজ্ঞাত কারণে জিম্মি হয়ে পরা ডাক্তার করিমও নিরুপায় হয়ে পরেছে বলে বিভিন্ন কাজে তাই প্রকাশ পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার করিমের নানাবিধ অপকর্মের সাক্ষী জহিরের ঘরে রান্না করা খাবার খেয়ে থাকেন ডাক্তার করিম।সকালে উপজেলা কমপ্লেক্সের ন্যাশনাল ব্যাংকের গেইটে থাকা দ্বীপ মেডিকো চেম্বারে রোগী দেখা ও বিভিন্ন সার্টিফিকেট বাণিজ্য শেষে মটর সাইকেলযোগে মালেক মুন্সীর বাজার সংলগ্ন হারামিয়া টোয়েন্টি বেড হসপিটালের বাসভবনের চেম্বারে নিয়ে যায় জহির উদ্দিনকে। সময়ের অভাবে কমপ্লেক্সের চেম্বারে যে সকল রোগী দেখা সম্ভব হয়না তাদেরকে মালেকমুন্সীর বাজার সরকারী হাসপাতালের বাসার ভেতরের চেম্বার যাওয়ার জন্য বলে জহির। বাসার চেম্বারে পূর্বে আসা রোগীদের দেখে ১১টার দিকে ডাঃ ফজলুল করিম হাসপাতালের দোতলায় অফিসে বসেন। এর মধ্যে জহির হাসপাতালে নীচে দক্ষিণ পাশে উত্তরমুখী হয়ে বসে আউটডোরে ডাক্তারের কাছে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের বিশেষ করে মহিলা রোগীদের কিংবা অভিভাবকদেরকে বলতে থাকে--- দোতলায় ডাক্তার নেই, বাইরে গেছে কিংবা ছুটিতে গেছে বলে ডাক্তার করিমের বাসার চেম্বরে যেতে আহবান জানাতে থাকে। সহজ সরল গরীব রোগীরা জহিরের কথায় বিশ্বাস করে অফিস টাইমের প্রাইভেট চেম্বারে যায়। কয়েকজন রোগী হওয়া শেষে জহিরের সিগনাল পেয়ে বাসায় গিয়ে অপেক্ষমান রোগীদের ২০০ টাকা ফিঃ এর বিনিময়ে রোগী দেখে। আর মারামারির মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও অন্যান্য সার্টিফিকেট প্রদানের জন্যে জহির তার দালালী ফিঃ আগেই নিয়ে নেয়।

চলবে……