ডা.ফজলুল করিমের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা জহিরের খপ্পরে সন্দ্বীপ স্বাস্থ্যখাত-- (পর্ব -৫)
অনুসন্ধান অফিস |
০১:২৪ এএম, ২০২০-০৭-১৯
ডাক্তার করিম যখন তার বাসার চেম্বারে রোগী দেখে তখন তার সহকারী জহির হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের নিচে দক্ষিন পাশে উত্তরমুখী হয়ে বসে থাকে। সুযোগ বুঝে আউটডোরে আসা রোগীদের ডাক্তার করিমের বাসার চেম্বারে যাওয়ার আহবান জানায় এবং বাহির থেকে কোন প্রশাসনিক কোন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা বা কোন সাংবাদিক আসে কি না তা পাহারা দেয়। ডাক্তার করিম যখন হাসপাতালের দোতলায় অফিস রুমে বসে, জহির তখন সারা হাসপাতাল দাবড়ে বেড়ায়। দোতলায় আউটডোরে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ডাক্তারদের রুমের সামনে গিয়ে কার কাছে কোন রোগী আসে, কোন অফিস রুমে কে আসে, কার কাছে আসে এসব দেখে বেড়ায় এবং রোগীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিব্রত করে। ঔষধ বিতরণ কক্ষে ঢুকে যিনি ফার্মাসিস্ট এর দায়িত্বে থাকুক না কেন কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া জবরদস্তি নিজের খেয়াল খুশিমত সরকারী ঔষধ নিয়ে নেয়। আপত্তি করলে ডাক্তার করিমের কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট কথা বলে টার্গেটে ফেলে দেয়। অফিস রুমে অফিস স্টাফদের মতো চেয়ার দখল করে বসে অফিসের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের বিভিন্ন কাজে হুকুম দেয়। অফিসের অনেক স্টাফদের নাম ধরে ডাকে এমন কি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সম্বোধন করে। তার মনিব ডাক্তার ফজলুল করিমের কাছে যে কোন মিথ্যে অভিযোগের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। (৩) স্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত কর্মচারীর মতো আচরণ করে জহির । উচ্চস্বরে বিভিন্ন কর্মচারীর নাম ধরে ডাকে। একজন স্টাফের বিরুদ্ধে আরেকজন স্টাফকে মিথ্যা কোন কথা বলে সম্পর্কে ফাটল ধরায়। ফিল্ড এবং হাসপাতালের বিভিন্ন পদের মহিলা ও পুরুষদের ব্যাপারে ডাক্তার করিমের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়ে স্টাফদেরকে অপমান অপদস্ত করায়। ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা শেষে সকাল সাড়ে দশটা/ এগারটার দিকে হারামিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকার পর থেকে দুপুর আড়াইটা/তিনটা পর্যন্ত ডাক্তার করিমের ব্যক্তিগত সহকারী কাম কাজের লোক হাসপাতালের ভেতরে বাসাবাড়ি এলাকা ও হাসপাতাল ভবন ও অফিসব্লক জিম্মির মতো করে রাখে। তার এসব বাড়াবাড়ি যারা পছন্দ করেনা তাদেরকে তার মনিব ডাক্তার করিমের মাধ্যমে কোণ ঠাসা করে রাখার ব্যবস্থা করে। এমনকি ফিল্ড স্টাফদের মধ্যে যারাই জহিরের এসকল অনধিকার চর্চায় আপত্তি করেছে তাদেরকে দুর্বল অযুহাতে অফিশিয়াল শাস্তির ব্যবস্থা করিয়েছে, অপমান অপদস্ত, গালিগালাজ শুনিয়েছে। সম্প্রতি তার অপতৎপরতা আরো বেড়ে যাওয়া অভিযোগ শুনে অনলাইন সাংবাদিকদের নজরদারী এবং অফিসে কর্মরত কয়েকজন স্টাফের সাথে যোগাযোগ করে তার দাবড়ানি কাছ থেকে দেখা গেছে। (৪) জহির সম্পর্কে আরও যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে তা হলো- হারামিয়া ২০ বেড হাসপাতালের সভাকক্ষে ডাক্তার করিমের মৌখিক অনুমতিতে যে সকল ঔষধ কোম্পানির বানিজ্যিক সেমিনার হয়ে থাকে তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে ডাক্তার করিমের প্রতিনিধি হিসেবে জহির উদ্দিন। সেমিনারের জন্য ডেকোরেশনের যে খরচ তা হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে করায়ে খরচ বাবদ ২ হাজার টাকা গোপনে নিয়ে থাকে। প্রতি মাসে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর ৩/৪ টা করে প্রোগাম হতে দেখা গেছে।
হাসপাতালে ডাক্তার ভিজিট করতে আসা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্যাম্পল ঔষধ ও গিফট সংগ্রহ করার দায়িত্বে থাকা জহিরকে ম্যানেজ না করতে পারলে হাসপাতালে অন্য ডাক্তার এবং তার মনিব ডাক্তার করিমের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর উচ্চ শিক্ষিত প্রতিনিধিদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নাম ধরে ডাকতে শুনা গেছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি, পার্টটাইম ফার্মেসী করে কিংবা পল্লী চিকিৎসা করে এমন স্টাফদের মাধ্যমে উচ্চ দামে বিদেশী মাল্টি ভিটামিন বলে বিক্রী করানোর প্রস্তাব করলে যারা তার এ ভিটামিন বিক্রী করতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদের নামে ডাক্তার করিমকে বিভিন্ন কান কথা বলে রোষানলে ফেলে দেয়। অফিশিয়ালি বিভিন্ন অযুহাতে ঐ স্টাফদের হেনস্থা করে ডাক্তার করিম। জহির যাই বলে তা যাচাই বাছাই না করে স্টাফদে।র উপর দমন পীড়ন চালায় ডাক্তার করিম।
চলবে-----