শিরোনাম
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি | ১২:১৫ এএম, ২০২০-০৭-২৩
শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে এক নারী ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক এক নারী । শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত হালিমা খাতুন ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উক্ত ঘটনায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার নুপুর ৭ জুন হালিমা খাতুন ও তার বাবা মো. আলী আহম্মদ আকনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি দেয়ার নামে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুল ব্যাপারীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার তারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এরপর ওই ভাই-বোনকে শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। নিয়োগপত্রে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর রয়েছে। গত ১লা এপ্রিল'২০ তাদের কর্মস্থলে যোগদানের কথা উল্লেখ করা হয় প্রদত্ত নিয়োগপত্রে। কিন্তু ওই দিন অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র ভুয়া।
খাদিজা আক্তার নুপুরের স্বামী মাহবুব আলম বলেন, আমার স্ত্রী নুপুর ও শ্যালক নাজমুলের চাকরির ব্যাপারে হালিমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন হালিমা গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। হালিমা বলেন, আমার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। কয়েকজনকে চাকরি দিতে পারব এবং চাকরি দিতে টাকা লাগবে। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেব। তার কথা বিশ্বাস করে স্ত্রী ও শ্যালকের চাকরির জন্য ঋণ করে কয়েক দফায় হালিমাকে ২৪ লাখ টাকা দেই। টাকা দেয়ার সময় হালিমার বাবা আলী আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব আলম বলেন, আমার স্ত্রী ও শ্যালককে একটি করে নিয়োগপত্র দেন হালিমা। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে স্ত্রী ও শ্যালক যোগদান করতে গেলে বলা হয় নিয়োগপত্র ভুয়া। এরপর ২৪ লাখ টাকা হালিমার কাছে ফেরত চাইলে সে নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তার স্বজনদের জানালেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই আমার স্ত্রী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। চাকরির দরকার নেই, আমরা টাকা ফেরত চাই।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন বলেন, ২৪ লাখ নয়; খাদিজা আক্তার নুপুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছি। চার লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা প্রতি মাসে কিস্তিতে ফেরত দেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী আবু তাহের বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও। লবণ মাঠের পলিথিনের সাথে এ কেমন শত্রূতা! যে সময়ে দাদন ব্যবসায়িদের টাকা শ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর থানাধীন রামকৃষ্ণবাড়ী গ্রামের জনৈক আল...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেন মিলন (২...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে গভীর রাতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited