শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ১০:০২ পিএম, ২০২১-০৪-১৯
মোঃ নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামর পটিয়া আসনের সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও তার ছেলে শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পটিয়া থানা জামে মসজিদের জায়গায় বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত দুই বছর আগে হুইপ ও তার পুত্র প্রভাব খাটিয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ভেঙে ফেলেন। এই নিয়ে তখন ব্যাপক ক্ষোভ আলোচনার সৃষ্টি হয়। এখন হুইপ ও তার পুত্র ভেঙে ফেলা মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়দের।
তারা বলছেন, এলাকার মুসল্লিরা পটিয়া থানার পাশে এস এ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নামাজ পড়ছেন।
জানা যায়, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ভেঙে ফেলার পর সেখানে মসজিদ কাম বহুতল মার্কেট বানাতে চেয়েছিলেন হুইপ ও তার পুত্র। তাদের এই অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মসজিদ ভাঙার সময় সাধারণ মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। থানা পুলিশ কর্মকর্তারা বাধা দিলে শাস্তি হিসেবে তাদের হতে হয়েছে বদলি। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পড়তে হয়েছে হুইপপুত্রের রোষানলে। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে রয়েছে অসন্তোষ।
নাম না বলতে ইচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হুইপ ও তার পুত্র মন যা চায় তাই করেন এখানে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলে বদলি বা সাসপেন্ড হতে হয়। এক কথায় ওনারা বাপ বেটা মানিক জোড়া ভাই।
পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদের জমি দখল করে তাতে ১০ তলা অভিজাত মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করছেন স্থানীয় এমপি শামসুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন। এরই মধ্যে তাদের অনুসারী এক নেতাকে দিয়ে কথিত মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে মসজিদের নাম। তারা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কথিত মসজিদ কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে চুক্তি ও করেছেন। এরই মধ্যে ১০ তলা মার্কেট করে তাতে ৪০০টি দোকান তৈরির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। একেকটি দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটিয়ার এক আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ‘মসজিদ ভেঙে মার্কেট নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। তাদের এমন অপকর্মে আমরা বিব্রত এবং মর্মাহত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’। মসজিদটি পটিয়া সার্কেলের এএসপি কিংবা থানার অফিসার ইনচার্জ সভাপতি এবং মুসলিদের পক্ষ থেকে একজন সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়ে মসজিদ পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯৯৪ সালে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও এ আহমদের যৌথ স্বাক্ষরে জনতা ব্যাংকের পটিয়া শাখায় ‘থানা মসজিদের’ নামে একটি যৌথ হিসাবও খোলা হয়। সরকারি বিভিন্ন দলিলেও ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। গত এক দশকে পটিয়ার প্রাণকেন্দ্রে ভূমির দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’র জায়গার ওপর দৃষ্টি পড়ে এমপি শামসুল হক ও তার পুত্রের। ২০১৩ সালে এমপি অনুসারী এবং তৎকালীন পৌর মেয়র হারুনুর রশিদকে সভাপতি করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কথিত মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। মসজিদের ওই জায়গায় ১০ তলা বহুতল মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেন হুইপ ও তাদের অনুসারীরা। তারা ‘নুসরাত ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ভবন নির্মাণে যুক্তি করে।
২০১৮ সালে পটিয়া থানা জামে মসজিদের নাম পাল্টে ‘পটিয়া থানা ছদু তালুকদার জামে মসজিদ কমপ্লেক্স’ নামকরণ করে হুইপ পরিবার ও তার অনুসারীরা। অবৈধ ভাবে গঠিত কথিত মসজিদ কমিটি বাতিল এবং ‘নুসরাত ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। ২০১৯ সালে পটিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত এক রায়ে ‘পটিয়া থানা ছদু তালুকদার জামে মসজিদ’ ও ‘নুসরাত ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে করা চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু রায়ের তোয়াক্কা না করে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, তার পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন এখন পর্যন্ত ১০ তলা মার্কেট করার পাঁয়তারা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটিয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হুইপ শামসুল হকের অনুসারী হারুনুর রশীদের বাড়ি পটিয়া থানা মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৪ কিলোমিটার দূরে। তিনি কোনো সময়ই পটিয়া থানা মসজিদ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন না। মূলত পটিয়া থানা জামে মসজিদের ভূমি আত্মসাৎ করতেই হঠাৎ করে তাকে সভাপতি করে কথিত মসজিদ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কথিত এ কমিটির নেপথ্যে রয়েছে হুইপ শামসুল হক ও তার পুত্র শামসুল হক চৌধুরী, তার পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুনের দেড়শ কোটি টাকার বাণিজ্য।
এভাবে পটিয়ার অসংখ্য মানুষ হুইপ ও তার পুত্রের কর্মকান্ডে বিব্রত।
দৈনিক অনুসন্ধান : যখন তখন মো. আরিফ ঢুকে পড়তেন মা জরিনা বেগমের কক্ষে। এরপর গালিগালাজ করতে করতে শুরু করতেন মারধর। দুই ক...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের বাগব...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি শুক...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আবদুল হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিশেষ কাজের অবদান রাখার জন্য ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : আসন্ন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছ...বিস্তারিত
সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও। গোয়াল ঘর থেকে গরু ছুটে যাওয়ায় হামিদ উল্লাহ নামের এক রাখালকে পিটিয়ে গুরু...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited