শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ১১:৩৬ এএম, ২০২১-০৪-২৫
মোঃ নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা মোহাম্মদ হাছান নামে এক রোহিঙ্গা কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা পরে সন্দ্বীপ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা যায় চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট দিয়ে সন্দ্বীপ প্রবেশ করেন ওই রোহিঙ্গা। সন্দ্বীপ আসার পর সন্দ্বীপের পশ্চিম সাগর পাড়ে হরিশপুর সুইস গেটে (প্রকাশ হতাল খাল) যাওয়ার পরিবর্তে ভুলক্রমে আজিমপুর ইউনিয়নে চলে যান । ইফতারের পর আজিমপুর পাহাড়ের গো বাড়ি সংলগ্ন বেড়ীবাঁধে অত্র এলাকার শিবলু নামে একজন যুবককে জিজ্ঞেস করে হতালখালে কোন দিক দিয়ে যেতে হবে? শিবলু স্বাভাবিকভাবে লোকটিকে হতালখালে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিলো। হঠাৎ পাশে থাকা আরেকজন লোক বলল- লোকটিকে রোহিঙ্গার মতো লাগে, ওকে ধরে জিজ্ঞেস করেন। অতপর জিজ্ঞাসবাদে লোকটি ঠিকমতো ঠিকানা বলতে পারে নাই!! অনেকক্ষণ বেড়ীবাঁধে আটকে রাখার পর পুরো আজিমপুরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় লোকজন জড়ো হতে থাকলো, খবর পেয়ে আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল আজিজ, লোকটিকে গ্রাম পুলিশ দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদে আনার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ লোকটির সাথে কথা বলতে থাকে। নাম কী, বাড়ি কোথায়, বাবার নাম, কোথায় থেকে আসলো,কার কাছে আসলো, কি জন্য সন্দ্বীপ আসছে, সন্দ্বীপ পরিচিত কেউ আছে কিনা ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকে। লোকটি নিজের নাম মোহাম্মদ হাছান, পিতার নাম- নুরুল হক, মাতার নাম- ছেবন বাহার, বাড়ি কক্সবাজার সদর বাংলাবাজার, চেরাংঘাট, ওয়ার্ড ৪ কিন্তু এলাকার চেয়ারম্যান কে? ইউনিয়নের নাম কী? বাড়ির নাম কি? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই! সন্দ্বীপ কেন আসছে জিজ্ঞেস করলে- উত্তর দেয়, আমি নদীতে মাছ ধরার জন্য আসছি, আমাদের এলাকায় কাজ নাই, তাই সন্দ্বীপ আসছি কাজ করার জন্য। সন্দ্বীপ হতালখালে নাকি তার পরিচিত করিম মাঝি নামে একজন লোক আছে, তার সাথে কাজ করবেন তাই সন্দ্বীপে আসা। পরবর্তীতে আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্দ্বীপ থানা কে বিষয়টি অবহিত করেন।
বিষয়টি জানার পর সন্দ্বীপ থানা থেকে এসআই জুলফিকার এর নেতৃত্বে স্বর্গীয় টিম আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। পুলিশি জিজেজ্ঞাসাবাদে লোকটি কক্সবাজারের যে ঠিকানা দিয়েছেন তার সাথে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেন নি।পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে শিকার করেন ওই রোহিঙ্গা, তিনি বলেন কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প (৩)থেকে পালিয়ে এসেছেন।
পরে পুলিশ রোহিঙ্গা লোকটিকে সন্দ্বীপ থানায় নিয়ে যায়।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা পালিয়ে সন্দ্বীপ আসলো জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
সন্দ্বীপের সচেতন মহলের দাবী সন্দ্বীপ থানা পুলিশ যেন এই রোহিঙ্গা লোকটি কীভাবে, কার বা কাদের সাহায্যে, কেন সন্দ্বীপ আসছেন তা দ্রুত বের করবেন।
লোকটির ভাষ্যমতে সে গতকাল সেহরি খেয়ে কক্সবাজার থেকে রওনা দিয়েছেন এবং বিকাল ৩ টায় কুমিরা ফেরীঘাটে পোঁছেন এরপর ৩০০ টাকা স্পীড বোট ভাড়া দিয়ে সন্দ্বীপ আসেন। কঠোর লকডাউনের মধ্যে স্পিড বোটে করে কিভাবে এই রোহিঙ্গা লোকটি কার সাহায্যে সন্দ্বীপে প্রবেশ করেছেন তা খতিয়ে দেখবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
দৈনিক অনুসন্ধান : যখন তখন মো. আরিফ ঢুকে পড়তেন মা জরিনা বেগমের কক্ষে। এরপর গালিগালাজ করতে করতে শুরু করতেন মারধর। দুই ক...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের বাগব...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি শুক...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আবদুল হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিশেষ কাজের অবদান রাখার জন্য ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : আসন্ন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছ...বিস্তারিত
সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও। গোয়াল ঘর থেকে গরু ছুটে যাওয়ায় হামিদ উল্লাহ নামের এক রাখালকে পিটিয়ে গুরু...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited