শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ০৮:০১ এএম, ২০২৩-০১-২৫
মোঃ হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি,লেখক ও সাংবাদিক
.........................
সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দের অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অসাধু কতিপয় কর্মকর্তা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাত্ হচ্ছে। অন্যদিকে যারা মনিটরিং করছেন তাদেরও অনেকে এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। ফলে মাঠপর্যায়ে মিলছে না সরকারের দেওয়া প্রকল্পের সুফল।
বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের কারণে স্কুল ভবনের সংস্কার হয় না। ছাদের পলেস্তারা এখনো খসে পড়ে। অনেক স্কুলের জানালা বা দরজার পাল্লা নেই। জানালার গ্রিল ভাঙা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে টয়লেট।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ক্ষুদ্র ও বড়ো মেরামত কাজ, বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ), রুটিন মেইনটেন্যান্স, প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস সজ্জিতকরণ, ওয়াসব্লক রক্ষণাবেক্ষণ, বই বিতরণ, শোক দিবস পালন, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং আনুষঙ্গিকসহ আট ধরনের বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্লিপের জন্য শিক্ষার্থী ভেদে প্রতিটি স্কুলে বছরে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০-এর বেশি হলে ৭০ হাজার টাকা, ৩০০-এর বেশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ৮৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০-এর বেশি হলে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় স্কুলে। এই বরাদ্দের অর্থ শিক্ষা কার্যক্রম, টিউবওয়েল মেরামত, আসবাবপত্র মেরামতসহ বিভিন্ন কাজে ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু এ অর্থের অনেকটাই ব্যয় করেন না কমিটি। বিভিন্ন বিল ভাউচার দেখিয়ে এই অর্থের একটা বড় অংশ আত্মসাত্ করা হয়।
স্কুলের রুটিন মেরামতের জন্য বছরে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রাক-প্রাথমিক ক্লাসরুম সজ্জিতকরণে বছরে ১০ হাজার টাকা, ওয়াসব্লক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২০ হাজার টাকা, বড়ো মেরামত কাজে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা, বাউন্ডারি নির্মাণে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা, বই বিতরণে ৪০০ টাকা, ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য ২ হাজার টাকা, শোক দিবস পালনের জন্য ২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া আনুষঙ্গিক খাতে ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চলতি ২০২৩ সালে সংস্কারের জন্য ২ লাখ টাকা করে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে ২ হাজার ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য গত ৯ জানুয়ারি সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হলো।
তবে এজন্য বিদ্যালয়গুলোকে মানতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্ষুদ্র মেরামত কার্যক্রম বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। অবশ্যই উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক মেরামত কাজের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নিয়ে কাজ শেষ করতে হবে।
বরাদ্দ অর্থে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের ভবন ও টয়লেটের ক্ষতিগ্রস্ত প্লাস্টার মেরামত; দরজা, জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট মেরামত; ছাদের সিলিং, লাইট, ফ্যান মেরামতসহ ভবনের মাঠে মাটি ভরাটকরণ ও অন্যান্য সংস্কার কাজ করা যাবে।
মেরামতের আগের ও পরের ছবি ভিডিও করে সেগুলো রেজিস্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে।
আসুন, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমার-আপনার আশে-পাশের স্কুলের একটু খবর নিই। এত বরাদ্দ যায় কোথায়?
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। এ উপ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৈত্রিক জমি বুঝিয়ে না দেয়ায় ব্যাপক ককটেলবা...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ভ্যান চালক কে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ : ইতালির ভেনিসে বসবাসরত কিশোরগঞ্জ জেলার আব...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ঈদগাঁও প্রতিনিধি। কক্সবাজারের বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার সর্বোচ্চ ২ কোটি ১০ লা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited