শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ০৪:০১ পিএম, ২০২৩-০৪-১১
ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অধীনে ঢাকার সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ডি.এইচ.এম.এস. চুড়ান্ত পরীক্ষায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলেকে গোপন কক্ষে বই খুলে নকল করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম বর্হিভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলের কক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্ত্রীকে দিয়ে ডিউটি করানো, কেন্দ্র পরিদর্শকের নির্দেশনা অমান্য করে নকলের দায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ২জন ছাত্র ও দুজন শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়াসহ অনিয়ম-দূর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইন লঙ্ঘন করে কেন্দ্র সচিব উপাধাক্ষ্য ডা. অজিত কুমার ঘোষ সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. কামাল হোসেনের ছেলে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ডি.এইচ.এম.এস. পরীক্ষার্থী আল-আমিনকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা সত্ত্বেও ভুয়া রোগী সাজিয়ে গোপন কক্ষে বসিয়ে সবগুলো পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এবং অধ্যক্ষের ছেলেকে নকলের সহযোগীতা করার জন্য অনৈতিক ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সুযোগ করে দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আল-আমিনের পরীক্ষা দেয়ার সময় প্রতিটি পরীক্ষায় ছেলের পাশে বসে বইয়ের পাতা কেটে নকলের সহযোগীতা করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী কলেজের মেডিকেল অফিসার ডা. হেলেনা আক্তার। পরীক্ষার হলে মেডিকেল অফিসারের ডিউটি করার কোন নিয়ম না থাকলেও পরীক্ষার্থী আল-আমিনের মা ডা. হেলেনা আক্তারকে ছেলের কক্ষে ডিউটি করার দায়িত্ব দেন কেন্দ্র সচিব। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছেলেকে বইয়ের পাতা কেটে নকল করতে সহযোগিতা করছে এমন ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
কলেজের পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুসন্ধানে জানা যায়, কেন্দ্র সচিব ডা. অজিত কুমার ঘোষ ক্ষমতার অব্যবহার করে প্রথম বর্ষের প্রথম দিন নিজের ভাতিজা জুনিয়র শিক্ষক ডা. তপন রাজবংশীকে দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষার অর্ধেক প্রশ্নপত্র ট্রেজারি থেকে
নিয়ে আসেন। ফলে প্রশ্নপত্র ঘাটতি দেখা যায়, এ কারনে একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী গাদাগাদি করে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়। এতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেক পরীক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং কেন্দ্র সচিবের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, গতবছরের ১৫ অক্টোবর কেন্দ্র পরিদর্শক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি নকল করার দায়ে পাঁচ জন ছাত্র এবং হলের দুই শিক্ষক ডা. আওলাদ হোসেন ও ডা. ফাতেমা বেগমকে বহিস্কার করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য করে কেন্দ্র সচিব উপাধাক্ষ্য ডা. অজিত কুমার ঘোষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পরামর্শে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে ২জন ছাত্র এবং ২জন শিক্ষককে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বাকী ৩জন ছাত্রকে বহিস্কার করেন। ফলে বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলে আমাদের সাথে পড়াশোনা করলেও প্রতিবার প্রতিটা পরীক্ষা গোপন কক্ষে দেয় এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধাক্ষের থেকে আমরা আশা করি না।
আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এক সিএনজি চালককে উদ্ধার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ। এ ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মু. মুবিনুল হক মুবিন, চট্টগ্রাম। পবিত্র 'ইদুল ফিতর' উপলক্ষ্যে আল করন - চট্টগ্রামসহ দেশবাস...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুইজনকে গ্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ : বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভেন...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ : মুসলিম উম্মার বরকত, রহমত ও নাজাতের মাস মাহে র...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited