শিরোনাম
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি | ০২:৩৮ এএম, ২০২০-০৮-১১
বাংলাদেশে গত কয়েক দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলেরা ট্রলার ও বোট ভর্তি করে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছেন। আর বাজারগুলো সয়লাব হয়ে গেছে ইলিশে। দামও তুলনামূলকভাবে গেছে কমে।
দাম কমে এমন জায়গায় এসেছে গত কয়েকবছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ এমন দামে ইলিশ পাতে তোলার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারতো না।
গত ২০শে মে থেকে ২৩শে জুলাই, টানা ৬৫ দিন ইলিশ আরোহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মৎস্য অধিদফতর।
তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারও অনেক আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ইলিশ মাছ ধরার স্বাভাবিক কার্যক্রম।
এতো দীর্ঘ বিরতির পর ২৩শে জুলাই রাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে জেলেরা ট্রলার, বোট বোঝাই করে ইলিশ ধরতে থাকে।
দীর্ঘসময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সেইসঙ্গে এ বছরের বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে এবং ইলিশ আগের চাইতে বেশি ধরা পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার পর্যায়ক্রমে কিছু পদক্ষেপ হাতে নেয়ার কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করেন ইলিশ গবেষক নিয়ামুল নাসের।
সবার আগে তিনি জাটকা ও মা ইলিশের বিচরণক্ষেত্র সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে আনেন।
ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ আদেশ অমান্য করলে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ কারণে এখন আর আগের মতো বছরব্যাপী অবাধে ইলিশ আহরণের সুযোগ নেই।
ইলিশের উৎপাদন বাড়ার কারণ হিসেবে মি. নাসের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নদীর পানির গুনাগণ ও প্রবাহ ইলিশের প্রজননের জন্য এখনও অনুকূলে আছে। এ কারণে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে স্রোতযুক্ত মিঠাপানির নদীতে এসে ডিম ছাড়ে।
তিনি বলেন, "ইলিশ মাছ জুলাই মাসের দিকে সমুদ্র থেকে নদীতে আসতে শুরু করে। এ সময় তারা পদ্মার দিকেই আসে। কারণ পদ্মার পানির স্তর ও গভীরতা অন্য নদীর চাইতে তখন বেশি। এ কারণে এতো বেশি মাছ পাওয়া যায়।"
এছাড়া সামুদ্রিক নিম্নচাপ এবং সাইক্লোনের একটা প্রভাব থাকার কারণেও ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
কেননা ওই সময়টায় জেলেরা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারেনা। এই সময়ে ইলিশ বড় হতে সময় পায়।
তবে নদীর প্রবাহ ও গভীরতা দিন দিন কমে আসার কারণে এই ইলিশের আহরণ টেকসই থাকবে কিনা সেটা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রথমত, বাংলাদেশের এই নদীগুলো প্রচুর পলি বয়ে আনায় নদীর তলদেশ প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে।
এভাবে পলি জমতে জমতে যদি নদীর গভীরতা ও পানি প্রবাহ কমে যায় তাহলে ইলিশ আর নদীতে আসতে চাইবে না বলে আশঙ্কা ইলিশ গবেষকদের।
এই ইলিশ মূলত সমুদ্র থেকে ছোট ছোট শাখা নদীর মাধ্যমে বড় নদীগুলোয় প্রবেশ করে।
সেই ছোট শাখার অনেকগুলো পলি জমে বন্ধ হতে থাকায় ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই ব্যবহারকারীদের আইডি স্বয়ংক্রিয়ভ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছে। পানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন শিবগঞ্জ ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার বিকাল ৬ টায় গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন কর্তৃক আয়...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে আ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন এক মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited