শিরোনাম
অনুসন্ধান অফিস | ১০:৪৬ পিএম, ২০২০-০৬-২১
নাদিম শাহ আলমগীর,সন্দ্বীপ। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিমলীগের জন্ম।যার উদ্যোক্তা ও প্রথম সভাপতি স্যার সলিমুল্যা।১৯০৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলীমলীগ আত্মপ্রকাশ করে কলকাতায়।স্যার সলিমুল্যা সভাপতি হন।১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগষ্ট মুসলিমলীগের হাত ধরেই পাকিস্তান জন্ম। কিন্ত পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই এ অন্চলের নেতৃবৃন্দ মুসলিমলীগের সেচ্ছচারি মনোভব এর কারনে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে মাওলানা ভাষানী,মিয়া ইফতেখার উদ্দীন, আরও অনেকে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সাথে ঢাকায় দেখা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যদি মুসলিমলীগে কোঠারি করা হয় তবে নতুন পার্টি করা হবে।সোহরাওয়ার্দী সাহেব মত দেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকা কে এম দাস লেইনে অবস্থিত রোজ গার্ডেনে মাওলানা ভাসানী কে সভাপতি সামসুল হককে সাধারন সম্পাদক ও শেখ মুজিবর রহমানকে যুগ্মসম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।এ সময় মাত্র ৩২ বছর বয়সি শেখ মুজিব জেলে ছিলেন।জেলখানায় লোক পাঠিয়ে শেখ মুজিবের মতামত নেওয়া হয়েছিল তিনি কি ছাত্রলীগে থাকবেন নাকি আওয়ামী মুসলিম লীগে থকবেন।তিনি মতামত দিয়েছিলেন যে তিনি আর ছাত্রলীগ করবেন না।মুলতঃ শেখ মুজিবের জন্যই যুগ্ম সম্পাদক পদটি সৃষ্টি করা হয়েছিল।১৯৫৩ সালের কাউন্সিলে এ পদটি বিলুপ্ত করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই শেখ মুজিবর রহমান মক্তি লাভ করেন।দলে তার থেকে বয়জেষ্ঠ্য অনেক নেতা আছেন।কিন্ত দেশের আনাছে কানাছে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, কর্মী সংগ্রহ,যাচাই বাচাই করা এবং প্রতিকুল রাজনৈতিক পরিস্থতিতে সরকার বিরোধী সংগঠনকে মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত করার গুরু দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হয়েছিল।ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন দলের প্রান পুরুষ। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতৃত্বের ভুমিকায় আবতীর্ণ হয়।৫২ সালের ৩০শে জানুয়ারী ঢাকা বার লাইব্রেরীতে মাওলানা ভাষানীর সভপতিত্বে সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।২৮ সদস্যের সংগ্রাম পরিষদে আওয়ামী মুসলিমলীগ ও ছাত্রলীগের প্রাধান্য ছিল।ছাত্রলীগের কাজী গোলাম মাহবুব আহ্বায়ক মনোনীত হন।শেখ মুজিবর রহমান তখন জেলে ছিলেন।জেলখানায় তার সাথে দেখা করেন তোয়াহা,অলি আহাদ,খালেক নেওয়াজ,কাজী গোলাম মাহবুবসহ আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।সেখানেই শেখ মুজিব সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটি করতে বলেন।এবংছাত্রলীগ থেকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করতে বলেন।শেখ মুজিব ২১ শে ফেব্রুয়ারী রষ্ট্রভাষা দিবস পালন করতে বলেন এবং সবাই সম্মত হন। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই ঢাকার নবাবপুর রোডে মুকুল সিনেমা হলে দলের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।মাওলানা ভাষানী সভাপতি ও শেখ মুজিবর রহমান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনে আওয়ামী মুসলিমলীগ প্রধান ভুমিকা পালন করে। ১৯৫৩ সালের ১৪-১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী মুসলিমলীগের বিশেষ কাউন্সিল সভা বসে।সভায় সোহরাওয়ার্দী সাহেবও উপস্থিত ছিলেন।শেখ মুজিব প্রস্তাব করেন ইলেকশন এলায়েন্স করা যেতে পারে।যেখানে হক সাহেবের ভাল লোক থাকবে সেখানে আওয়ামীলীগ নমিনেশন দিবেনা।আর যেখানে আওয়ামীলীগের ভাল লোক থাকবে সেখানে তারা নমিনেশন দিবেনা।১৯৫৩ সালের ৪ ডিসম্বর যুক্তফ্রন্ট তৈরী হয়।যুক্ত ফ্রন্টের সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল গ্রামের সাধারন মানুষের কাছে হক সাহেবের জনপ্রিয়তা এবং পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগের মত একটি সংগঠিত রাজনৈতিক দল।৮-১২ মার্চ (১৯৫৪) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।যুক্তফ্রন্ট নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়।যুক্তফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪৩ টি,কৃষক শ্রমিক পার্টি ৪৮ টি,নেজামে ইসলাম ২২ টি,গনতন্ত্রী দল ১৩ টি,খেলফতে রাব্বানী পার্টি ২ টি আসনে জয়ী হয়। ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটে রূপমহল সিনেমা হলে পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।এ সম্মেলনে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে পুর্ব পাকিস্তন আওয়ামী লীগ রাখা হয়।আবারও মাওলানা ভাষানী সভাপতি এবং শেখ মুজিবর রহমান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে বৈদেশিক নীতিকে কেন্দ্র করে দলটি বিভক্ত হয়ে পড়ে।ফলে দলটি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হয়।মাওলানা ভাষানী পদত্যগ করেন এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। এই সংকটময় মুহুর্তে শেখ মুজিবর রহমান দলের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।মাত্র ৯ মাস মন্ত্রীত্ব করার পর আওয়ামীলীগকে পুর্নকালিন সময় দেওয়ার জন্য ৩১ শে মে ১৯৫৭ সালে তিনি মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।মাওলানা আব্দর রশিদ তর্কবাগিশ দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। জেনারেল আয়ুবের স্বৈরাচারি শাষনামলে(১৯৫৮-৬৯) শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ পুর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাষণ লাভের আন্দোলনে প্রধান দল হিসাবে আভির্ভুত হয়।১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিব আওয়ামীলীগের প্রধান নেতা হন।১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারী তার ধানমন্ডীর বাসায় কেন্দ্রীয় সদস্যদের সভায় তিনি আওয়ামীলীগকে পুনরুজ্জীত করেন। ১৯৬৬ সালে লাহরে অনুষ্ঠিত বিরূধী দলের এক সম্মেলনে শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসুচী উপস্থাপন করেন।ছয় দফা কর্মসুচী রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।এই কর্মসুচী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয় দেখা দেয়।খোদ আওয়ামীলীগের একটি অংশ ছয় দফার বিরোধীতা করে।অবস্য ১৮-১৯ মার্চ ঢাকার ইডেন হোটোলে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে শেখ মুজিবর রহমান ছয় দফা কর্মসুচী অনুমোদন করিয়ে নেন।শেখ মুজিব সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারন সম্পাদক হন। আওয়ামীলীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে ছয়দফা দাবী গৃহীত হওয়ার পর থেকেই সরকার শেখ মুজিবের বিরূদ্ধে নানা রকমের মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে।মুজিব যেখানই যান সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।জামিন নিয়ে তিনি আবার প্রচার শুরু করেন। সরকারের নিপিড়ন যত বাড়তে থাকে শেখ মুজিব ও ছয়দফার পক্ষে ততই জনসমর্থন বাড়তে থাকে।মে মাসের ৮ তারিখ(১৯৬৬)' পাকিস্তান দেশ রক্ষা আইনে' শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়।কয়েক দিনের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রায় সব প্রধান নেতাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আওয়ামীলীগ ২০ মে(১৯৬
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগ্রাম এলাকায় কসাই...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কর্পোরেট সন্ত্রাসীদের রুখে দাড়ানোর আহবান ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ...............নিজস্ব প্রতিবেদক ২৮ আগস্ট সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : কেফায়েত উল্লাহ কায়সার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ উত্তর কাট্টলী আলহাজ্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : কাউছার মাহমুদ দিদারঃ সন্দ্বীপে উন্নয়নের ইতিহাস সৃষ্টিকারী একজনই দেখলাম। যিনি সন্দ্বীপ পৌরসভা ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : গেলো বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে একজন তরুণ ইসলামিক লেকচারার আফছানুল আদনান, যিনি আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited