শিরোনাম
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক | ০৭:৩৯ এএম, ২০২০-০৮-২৭
ব্রান্ডি স্টুয়ার্ট কাজ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে। গত ১৬ই আগষ্ট, রোববার ডেথ ভ্যালিতে তাপমাত্রা ছিল ৫৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশ্বে নির্ভরযোগ্যভাবে এযাবতকালের রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ।
"এখানে এখন যেরকম গরম পড়েছে, আমরা সবাই আমাদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলছি। আপনি যখন বাইরে যাবেন, মনে হবে যেন আপনার মুখে অনেকগুলো হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস এসে পড়ছে", বলছিলেন তিনি।
ডেথ ভ্যালি এক বিস্তীর্ণ মরুভূমি। মাঝে মাঝে আছে বালিয়াড়ি আর গভীর খাদ। পাশ্ববর্তী রাজ্য নেভাডা পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৬ই আগষ্ট, রোববারের তাপমাত্রা আসলেই বিশ্বে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কীনা, সেটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) এখন যাচাই করে দেখছে। কিন্তু ডেথ ভ্যালিতে গরম আসলে কত বেশি, সেটা বোঝার জন্য ব্রান্ডি স্টুয়ার্টের কোন বিশেষজ্ঞের মতামতে অপেক্ষায় বসে থাকার দরকার নেই।
ডেথ ভ্যালি হচ্ছে বিশ্বের উষ্ণতম জায়গা। কিন্তু এরকম একটা জায়গাতেও থাকে কয়েকশো মানুষ। ব্রান্ডি তাদের একজন।
ডেথ ভ্যালিতে মিজ স্টুয়ার্ট প্রায় পাঁচ বছর ধরে আছেন। তিনি কাজ করেন ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের কমুনিকেশন বিভাগে।
"এখানে এত গরম যে, আপনার গায়ে যে ঘাম হচ্ছে তা আপনি টেরই পাবেন না। কারণ খুব দ্রুত এটি বাস্প হয়ে উবে যাচ্ছে। ঘামে যখন কাপড় ভিজে যায়, সেটা টের পাওয়া যায়, কিন্তু গায়ের চামড়ায় ঘাম শুকিয়ে যায় খুব দ্রুত। এই বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে আমার সময় লেগেছে।"
ছবির উৎস,REUTERS
ছবির ক্যাপশান,
ডেথ ভ্যালিকে বলা হয় বিশ্বের উষ্ণতম জায়গা
মিজ স্টুয়ার্ট বলেন, গ্রীস্মের সময় তাদের বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতরেই কাটে। তবে অনেকে পাহাড়ের দিকে চলে যায়, যেখানে তাপমাত্রা একটু কম।
"যখন লোকে এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন এটা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। তখন তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) নীচে নামলে সেটাকেই মনে হয় খুব ঠান্ডা।"
ডেথ ভ্যালির লোকজনের বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনিং এর ব্যবস্থা আছে। এটি তাদের ঘর ঠান্ডা রাখে। কাজেই ঘুমাতে অসুবিধা হয় না। তবে বিদ্যুৎ যদি চলে না যায়। যখন প্রচন্ড গরম পড়ে, তখন সবাই সারাক্ষণ এয়ারকন্ডিশনিং চালিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করে। তখন বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়।
ডেথ ভ্যালির বেশিরভাগ মানুষ থাকেন এবং কাজ করেন ফার্নেস ক্রীকে। এখানেই সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এই জায়গাটা সমূদ্র সমতল থেকে প্রায় ২৮০ ফুট নীচু একটা বেসিনের মতো। চারিদিকে উঁচু এবং খাড়া পাহাড় দিয়ে ঘেরা।
জেসন হেসার এই ফার্নেস ক্রীকেই থাকেন। তার আসল বাড়ি মিনেসোটাতে। কাজ করেন এখানকার একটি গলফ কোর্সে। এটি বিশ্বে সমূদ্র সমতল থেকে সবচেয়ে নীচু কোন গলফ কোর্স।
"আমি দুবার ইরাকে ছিলাম। যদি ইরাকে থাকতে পারি, তাহলে ডেথ ভ্যালিতেও থাকা যায়", বলছিলেন সামরিক বাহিনীর এই সাবেক সদস্য।
ছবির উৎস,JASON HESER
ছবির ক্যাপশান,
জেসন হেসার ফার্নেস ক্রীকে আছেন ২০১৯ সাল থেকে
জেসন গলফ কোর্সে কাজ শুরু করেন ভোর পাঁচটার একটু আগে এবং দুপুর একটা পর্যন্ত কাজ করে যান।
"ওরা আমাদের জানিয়েছে, যখন গরম আরও বেশি পড়বে, তখন আমাদের আরও ভোরে কাজ শুরু করতে হবে। একেবারে ভোর চারটায়। আর সেই ভোরেও কিন্তু তাপমাত্রা প্রায় ১০০-১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৭ দশমিক ৭ হতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
এই গলফ কোর্সটিকে নিপাট রাখার জন্য যে পানি দরকার, তা আসে একটি ভূগর্ভস্থ ঝর্ণা থেকে। যে দলটি গলফ কোর্সটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে মিস্টার হেসার তাদের একজন।
"আমরা প্রতিদিন ঘাস কাটি। এটা-ওটা ছাঁটি। বাংকারগুলো থেকে আগাছা পরিস্কার করি। আবহাওয়া যেহেতু খুবই শুস্ক, অনেক গাছ মরে যায়। আমরা সেগুলো সরাই। এত গরম পড়ে যে এসব গাছ শুকিয়ে ফেটে যায়। আমাদের দিনের অনেক সময় যায় এগুলো পরিস্কার করতে।"
মিস্টার হেসার এখানে এসেছিলেন ২০১৯ সালে। তিনি তার কাজটা বেশ পছন্দ করে ফেলেছেন। আরও কয়েক বছর তিনি এখানে থাকার পরিকল্পনা করছেন।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
ফার্নেস ক্রীকের গলফ কোর্স। এখানেই কাজ করেন জেসন হেসার
ডেথ ভ্যালিতে গ্রীস্মের ভয়াবহ গরমের যে কষ্ট, সেটা কিছুটা পুষিয়ে দেয় শীতকাল।
অবসরে তিনি গলফ কোর্সে গলফ খেলতে পছন্দ করেন। তবে সেজন্য উঠতে হয় বেশ সকালে এবং খেলা শুরু করতে হয় সকাল সাতটায়। কারণ এরপর গরম খুবই অসহনীয় হয়ে উঠে।
"আমি গলফ খুব ভালোবাসি", বলছেন তিনি।
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : সুদ শব্দটি ফারসী বা উর্দু শব্দ থেকে এসেছে। সুদ এর আরবী রিবা। রিবা শব্দের অর্থ হলো আধিক্য, প্রবৃদ্ধ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের কোনো এক স্থানে ক্যাম্পাসেরই দুই (জুনিয়র-সিনিয়র) ছাত্রের মাঝে ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীতে কৃষিভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হাস...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মোঃ আলমগীর, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গহীন পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযা...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকেও অনেক তরুণ উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠান অনলাইনে প্রযুক্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : কিছুদিন আগে মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক মুহতারম মুনির ভাইয়ের মোবাইল থেকে ফোন করে শায়খু...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited