শিরোনাম
মোঃ নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধি | ০৯:১৩ পিএম, ২০২০-০৯-০৭
হকার উচ্ছেদের সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের মারমুখি আচরণে হতবাক নগরবাসী। প্রকাশ্যে নিজের আঞ্চলিক ভাষায় গালাগালি ও হকার নেতার শার্টের কলার চেপে ধরে মুখে ঘুষি মারতে যাওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রবিবার (০৬ই সেপ্টেম্বর) নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা সুজন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হকারদের গালাগাল ও মারমুখি আচরণ করেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন হকার্স নেতাকে কলার ধরে ঘুষি মারতে চেষ্টা করছেন খোরশেদ আলম সুজন। অন্যরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ফেসবুকে। অনেকে বলছেন, একজন প্রশাসক কিভাবে অন্যের উপর হাত তোলে বা তুলতে চেষ্টা করে।
রোববার (৬ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাঝিরঘাট সড়ক পরিদর্শন শেষে নিউ মার্কেট মোড়ে আসেন চসিক প্রশাসক সুজন। এসময় গাড়ি থেকে নেমে হকার্সদেরকে গালাগালি করতে থাকেন। কারণ, সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত সময়ে তারা নিজেদের অবৈধ স্থাপনাগুলো স অ রিয়ে নেয় নি।
সেখানে হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে চসিক প্রশাসক সুজন আবদুল বাতেন নামে এক হকার্সকে কলার ধরে ঘুষি মারতে এগিয়ে যান। এ সময় ঘুষি মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার কথাও বলেন চসিক প্রশাসক। পরে আশপাশের মানুষজন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন।
চট্টগ্রামের একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ভিডিওটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন জন এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকে।
শহীদ ইকবাল নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, দেশের আইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থাকতে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সন্ত্রাসী সুলভ আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আসলে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না প্রবাদটি যথার্থই।
অন্য আরেকজন তার নিজের টাইমলাইনে প্রশাসক সুজনের এই ভিডিও cplus টিভির নিউজের শেয়ার করে লিখেন- "হাজার স্যালুট, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।"
তবে এ বিষয়ে সম্মিলিত হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন বলেন, চসিক প্রশাসক আমাদেরকে দোকান করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছি। বিকেলে তিনি এসে হঠাৎ সবাইকে গালাগালি করেছেন। আবদুল বাতেন নামে এক হকার্স নেতাকে কলার ধরে মারতে চেয়েছেন। আমরা তো নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করছি না।
আবদুল বাতেনকে জুতা চোর উল্লেখ করে চসিক প্রশাসক সুজন বলেন, হকার্সদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে তারা বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করবে এবং রাস্তায় দোকান বসাবে না। কিন্তু তারা সেই কথা রাখেনি। তারা এখনো নিজেদের ইচ্ছেমতো সময়ে আগের মতই ফুটপাতে দোকান বসিয়েছিলো। আর যাকে মারতে চেয়েছি সে জুতা চোর। জুতা চোরকে না মেরে কি করব?
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজহাতে আইন তুলে নেওয়াটা সমীচিন নয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি এ ধরনের রাজনীতিবিদ থেকে কেউ আশা করে না। দেশে আইন আছে। আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে বিষয়টি আরো সুন্দর হতো।
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ও...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আহমেদ রকিব, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : নিউইয়র্ক অফিসঃ মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ জাতীযতাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা 'জাসাস' ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited