শিরোনাম
মোঃ নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধি | ০৩:১০ পিএম, ২০২০-০৯-১৫
চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।
চট্টগ্রামের- সন্দ্বীপ উপজেলায় সহ বেশ কিছু জেলা উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই এখন এ ধরনের রোগী। তাঁদের মধ্যে জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই।এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরে দিনে প্রচণ্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা পড়ছে। তাপমাত্রার এ তারতম্যের কারণেই সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তবে করোনা মহামারির এই সময়ে যে কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিক না কেন, অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তাঁদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এভাবে ইতিমধ্যে অনেকে সুস্থ হয়েও উঠছেন। আবার কেউ কেউ চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সন্দ্বীপ ‘উপজেলায় সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০থেকে ২০০ রোগী আসছেন চট্টগ্রামে। এসব রোগীর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত। ওষুধে ভালো হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া আমরা লক্ষ করছি, অনেক রোগীরই উচ্চ তাপমাত্রা, অর্থাৎ ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর উঠে যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ ওষুধে তিন থেকে চার দিনে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।’
এদিকে সন্দ্বীপে বাজারঘাটসহ জনসমাগমের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টিকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে বেশকিছু ওষুধের দোকানের বিক্রেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়। তাঁরা জানান, সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গেছে। যা অবস্থা, তাতে মনে হয় এখন ঘরে ঘরে জ্বর। এ ধরনের বেশির ভাগ রোগী বা রোগীর স্বজন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে তাঁদের কাছে এসে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
নদী পাড় হয়ে চট্টগ্রামে আসা সামাজিক বিড়ম্বনাসহ নমুনা পরীক্ষায় জটিলতা ও আস্থাহীনতার কারণে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত তেমন কেউ করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা মনে করছেন, করোনা হোক আর সাধারণ জ্বর হোক, তা সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যাবে। এ ছাড়া এর আগে নমুনা দেওয়ার পর অনেকেই ৮ থেকে ১০ দিন বা তারও বেশি সময় পর পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন। কিন্তু তত দিনে তাঁরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করলেও পজিটিভ হওয়ার কারণে পরিবারসহ লকডাউনে যেতে হয় তাঁদের। তাঁদের কেউ কেউ সামাজিক হেনস্তার শিকারও হন। এ কারণে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগেরই করোনা পরীক্ষায় নেই আগ্রহ।
এদিকে সন্দ্বীপ পৌরসভা এলাকার একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিজীবী জানান, ছয়-সাত দিন ধরে তিনিসহ তাঁর পরিবারের সবারই জ্বর-কাশি চলছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবনে কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি সুস্থ হননি কেউ। এ অবস্থায় ঝামেলা ও বিড়ম্বনার ভয়ে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তাঁরা।
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই ধুলোবালিতে ঢেকে যাচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। শহরের অলিগলি থ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। আ...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পবিত্র রমজান উপলক্ষে দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। একজন ওষুধ ব...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর প্রতিভাবান তরুণ সাংবাদিক মুকিত ইসলাম শুভ বিভিন্ন রোগে ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : সন্দ্বীপে দ্রুত নৌযানের অভাবে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রসুতির নাম কুলসুমা বেগম। তি...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মোঃ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর মেমোরিয়াল হাসপাতাল ইউএসটিতে সিজারিয়ান এক নার...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited