শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ০৯:৩২ পিএম, ২০২০-০৯-২৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ্য সন্তান শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন।
বড় সন্তান হিসাবে পিতার রাজনৈতিক জীবনের সকল উত্থান পতন,জেল জুলুম,আন্দোলন সংগ্রাম খুব কাছ থেকে দেখেছেন। হয়েছেন রাষ্ট্রপতির কন্যা। রাজকন্যা হিসাবেই ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের মাত্র কয়েকদিন আগেই স্বামীর কর্মস্থল জার্মানীতে যান ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ১৫ ই আগস্ট সপরিবারে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে স্বপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা। বিদেশ থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দু বোন।
রাজকন্যা হিসাবে বিদেশ ভ্রমনে গিয়ে হয়ে যান উদ্বাস্ত। ৬টি বছর ইন্ডিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে জীবন যাপন করেন। এ যাপিত জীবন মোটেও সুখকর ছিল না। এ দিকে আওয়ামীলীগ ৩/৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ঐক্যের প্রতীক হিসাবে ১৯৮১ সালের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়মীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৭ ই মে ১৯৮১ জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। শুরু করেন স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম। অত্যন্ত কন্টকাকীর্ণ পথ পারি দিতে হয় তাকে।
এক দিকে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রকাশ্য আস্ফালন তার জীবনকে ঝুকিপুর্ণ করে তোলে। কিন্ত দমে যাওয়ার ব্যক্তি নন জাতীর পিতার কন্যা। নিজ দলের মধ্যেও তিনি চ্যালেন্জের মুখে পড়েন। আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটা গ্রুপ বের হয়ে বাকশাল গঠন করে। সারা দেশে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। গোটা দেশ ঘুরে ঘুরে দলকে সুসংগঠিত করতে থাকেন।
সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে চালিয়ে যান ভাত ও ভোটের লড়াই। জীবনের উপর বারবার আঘাত আসে।খুনি ফারুক রসিদ চক্র সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রিডম পার্টি করে ঢাকা শহরের সব সন্ত্রাসীকে তাদের দলে ভিড়ায়। ১৫ ই আগস্ট আসলে তারা নাজাত দিবস পালন করে! এসব সহ্য করতে হয় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। ১৫ দলীয় জোট গঠন করে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে রাজনীতি চালিয়ে যান।
অবশেষে ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটে।৯১ এর নির্বাচনে নানা চক্রান্তে নিশ্চিত বিজয় হাত ছাড়া হয়ে যায়। দলের মধ্যে আবার বিভাজন দেখা দেয়।
ডঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আাবার একটি গ্রুপ বেরিয়ে গিয়ে গনফোরাম গঠন করে। দীর্ঘ১৫ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত হন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ সুগম করেন। মামলার রায়ে খুনিদের ফাঁসির আদেশ হয়। কিন্ত রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
২০০১ সালে চক্রান্তের নির্বাচনে ক্ষমতা হারান! ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেন।
দেশকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে আসেন।বিশ্বব্যাপী সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন।আজ এ সফল রাষ্ট্র নায়কের ৭৪ তম জন্মদিন।শুভ জন্মদিন প্রিয় নেত্রী! আপনি সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। আপনার হাতে নিরাপদ বাংলাদেশ।
লেখকঃ নাদিম শাহ আলমগীর।
প্রকাশক ও সম্পাদক
দ্বীপের কন্ঠ পত্রিকা
দ্বীপের কন্ঠ অনলাইন পোর্টাল।
২৮/৯/২০২০ ইংরেজি
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রবিবার (১৭ মার্চ), মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : সাব্বির রহমান, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি- গত মঙ্গলবার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শে...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : সাখাওয়াত হোসেন (তুহিন) মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধান মন্ত্রীর উ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ : শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের রোজভ্ল্ট অ্যাভিনিউয়ের একটি রেস্টুরেন্টে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited