শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ০২:৪২ পিএম, ২০২০-১১-০১
মোঃ নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাব মেরিন ক্যাবলস এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এর আগে সর্ব প্রথম চট্টগ্রামের বিচ্ছন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে সাব মেরিন ক্যাবলস এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ আলোয় আলকিত হয়। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মতো জাতীয় গ্রিডের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এই দ্বীপ।
এ লক্ষ্যে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল স্থাপন করা হচ্ছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ যাবে কুতুবদিয়ায়।
উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ— তিন দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল। মধ্যিখানে প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সাগরের বুকে ভেসে থাকা একটি দ্বীপ কুতুবদিয়া।
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুতুবদিয়া উপজেলার লোকসংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৮ জন। বর্তমানে দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
৩০ হাজার গ্রাহকে বিদ্যুৎ দিলে পুরো এলাকা কাভার করবে। কারণ গড়ে এক জন গ্রাহক থেকে ৬ থেকে ৭ জন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবেন।
`হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি) নির্মাণ করা হবে হাতিয়া দ্বীপে। এর পরে হাতিয়া থেকে নিঝুম দ্বীপে ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিতরণ অঞ্চল, বিউবো, চট্টগ্রাম) মো. শামছুল আলম বলেন, “মাতারবাড়ী নতুন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে সাবমেরিন ক্যাবেলের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ যাবে। সন্দ্বীপের মতো আধুনিক ভারি ক্যাবল ব্যবহার করা হবে। ঝুঁকিমুক্ত রাখতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ”
বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সকল এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আইপিপিপির মাধ্যমে হাতিয়া দ্বীপে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে হাতিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়া থেকে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে নিঝুম দ্বীপ এবং মগনামা হতে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে কুতুবদিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। বর্তমানে বিপিডিবির হাতিয়া দ্বীপে ২ হাজার ৫৫৮ জন, কুতুবদিয়া দ্বীপে ১ হাজার ২০০ জন গ্রাহক রয়েছে। নিঝুম দ্বীপে কোনো গ্রাহক নেই। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭ এমভিএ বা ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। এসবের মাধ্যমে ৪২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া যাবে।
বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করার জন্য একটি ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে রিকুয়েস্ট অপর প্রোপোজাল (আরএফপি) ইস্যু করা হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধেই আরএফপি দাখিল করেছে। আইপিপির আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যথাসময়ে নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বোডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৈশলী
(বিউবো- চট্টগ্রাম) মোঃ শামছুল আলম।
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় সংসদে আজ ‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। হাট ও বাজার (...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : বারমাসি কাটিমন আম ও ড্রাগন ফলের বাজার জরিপ, ভোক্তা চাহিদা মূল্যায়ন ও দাম যাচাইয়ের লক্ষ্যে "মেরিড...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি হারমনি বিল্ডার্স লিমিটেড সম্প্রতি বি...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জনবহুল এই শহরে অলিতে গলিতে মানুষ স্বপ্ন বুনে চলে আপন মনে। সেই স্বপ্ন বাস্তবা...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কুনহা ডিওয়াই জেবি কর্তৃক নির্মি...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2023 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited