শিরোনাম
দৈনিক অনুসন্ধান | ০৮:৫৪ এএম, ২০২১-০৪-০৯
করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শুরু থেকেই বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। হাতের মাধ্যমে চোখ-মুখে যাতে জীবাণু না পৌঁছায়, এ জন্য সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার উপর জোর দেওয়া হয়।
সে সুবাদে পথচারীদের সুরক্ষায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন। নগ রগুলোর বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় বেসিন।
হাত পরিষ্কার করতে তাতে সাবান-পানি রাখা হয়। যাতে চলতি পথে জনসাধারণ হাতের নাগালেই পেয়ে যান হাত ধোয়ার সুযোগ।
জনসাধারণের হাত ধোয়ার জন্য বসানো বেসিনগুলো এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় বেসিনগুলো এখন পরিত্যাক্ত।
সাবান পানি বিহীন বেসিনগুলোর কোনোটির পানির টেপ নেই। পানির ড্রামে জমেছে ময়লার ভাগাড়। জমে থাকা ময়লা পানিতে হচ্ছে মশার প্রজনন।
নগরগুলোর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে এবং দৃষ্টি সীমায় হাত ধোয়ার উপকরণগুলো নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকলেও দৃষ্টি কাড়েনি নগর কর্তৃপক্ষগুলোর।
অথচ নতুন করে সৃষ্ট করোনার ঢেউয়ে আক্রান্ত নগরীগুলো। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা পজিটিভ কোভিড-১৯) রোগী। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মৃত্যুর ঘনঘটাও সবখানে। প্রত্যহ এক/দুই করে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ করছে মহামারি করোনা।
এ অবস্থায়ও হাত ধোয়ার বেসিনগুলো নিয়ে সিটি করপোরেশনগুলোর কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ জনগণকে সুরক্ষায় সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে। ঘোষিত লকডাউন ঢিমেতালে চলার ন্যায় করোনা সচেতনতায় সিটি কর্পোরেশনগুলোর কার্যকম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
সিলেটে সরেজমিন দেখা গেছে, নগর ভবনের সামনে, রিকাবিবাজার, সুবিদবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, সুবহানিঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে সিসিকের বসানো বেসিনগুলো আক্ষরিক অর্থে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। অব্যহৃত এসব সামগ্রিগুলো সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরে বিভিন্ন স্থানে ৬০টি বেসিন বসিয়েছিল সিসিক কর্তৃপক্ষ। সেগুলোতে প্রতিদিন সাবান পানির ব্যবস্থা করণসহ পরিচর্যা বাবদ ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু দায়িত্ব অবহেলার কারণে গচ্ছা গেলো সিসিকের এই প্রকল্পের টাকা। এগুলো এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় এই খানে সিলেট সিটি করপোরেশনে সরকার থেকে আরো ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু সেই টাকার সঠিক ব্যবহার নিয়েও এখন প্রশ্ন ওঠেছে।
নগরের রিকাবিবাজারের ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী বলেন, জেলা স্টেয়ামের সামনে ফুটপাতে বেসিনটি অনেক দিন যাবত নষ্ট। এগুলোতে ময়লা পানি জমে মশা জন্মাচ্ছে। কেউ কখনো সাবান পানি নিয়ে এসে রেখে গেছে মনে পড়ছে না।
চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ বলেন, অকেজো হয়ে পড়ে থাকা হাত ধোয়ার বেসিনগুলোতে সিসিকের অব্যবস্থাপনার সাক্ষি হয়ে আছে। বেসিনগুলো ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।
এভাবে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসানো হয় বেসিন বা হাত ধোয়ার জন্য ড্রাম অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে করোনা থেকে সুরক্ষায় হাত ধোয়ার জন্য নগরে ধাপে ধাপে ৬০টি বেসিন বসানো হয়েছিল। সেগুলোতে সাবান পানিসহ সার্বিক খরচ হয় ২৬ লাখ টাকা। এসব বেসিনে প্রতি সপ্তহে ১০০ সাবান দেওয়া হতো। ২৪ ঘন্টা সাবান-পানি সরবরাহে একটি গাড়িসহ চালক ও একজন কর্মী দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। আর অনেকগুলো বেসিন থেকে টেপ খুলে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো মেরামত করার দায়িত্বে থাকা লোকজন দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। অবশ্য সেগুলো আবার মেরামত করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করা হবে বলে জানান তিনি।
আর এভাবেই সিলেটের ন্যায় দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোর হাত ধোয়া প্রকল্পের বেহাল দশা হয়ে আছে।
দৈনিক অনুসন্ধান : আফজাল হোসেন রুমেল, বড়লেখাঃ বড়লেখা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে উত্তর চৌমুহনী গাজিটেকা স্থানে একটি কভার...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীতে কৃষিভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হাস...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধিঃ বান্দরবান আলীকদমের ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মোঃ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম টু সন্দ্বীপ নৌ-রুটে স্পিডবোট এ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : মোঃ রিয়াদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ এসএসসি ২০১৩ এবং এইচএসসি ২০১৫ ব্যাচ ২০১৯ সালে ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ব্যা...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আহসান উল্যাহ সজিব, দোহা,কাতারঃ ২৬শে নভেম্বর শুক্রবার রাতে দোহা জেদিদ এলাকায় স্হানিয় একটি হলরুম...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited