চাঁপাইনবাবগঞ্জে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাড়িতে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা
দৈনিক অনুসন্ধান |
১০:০০ পিএম, ২০২৩-১০-১৭
ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই পৌর এলাকার খোদ সার্কিট হাউস এলাকায় বাড়ি থেকে অবাধে বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। আইন কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জালানির ব্যবসা চলছে দেদারসে। জানা যায়, পৌর এলাকার সার্কিট হাউস সংলগ্ন শান্তিবাগ মহল্লায় আলমের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এই বাড়িতে নেই কোন আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জানা গেছে, জালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী যে সব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিক্রি করবে তাদের গ্যাস বিক্রির স্থানকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা রেখে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালাতে হয়। আইন অনুযায়ী গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে মেঝে পাকাসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপন সিলিন্ডার মজবুত ও ঝুঁকিমূক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে জালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এর কোনটিই নেই এই বাড়ীর মালিক অবৈধ গ্যাস ব্যবসায়ী আলমের। এই গ্যাস ব্যবসায়ী আলম সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তার এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অধিক লাভের আশায় মান ও মেয়াদহীন অনেক কোম্পানির সিলিন্ডার রাখায় এই বাড়ির মালিক নিজের অজান্তেই বোমার চেয়ে ভয়ানক বিপদের পশরা সাজিয়ে রেখেছেন। পৌর এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, আবাসিক এলাকায়, রাস্তার পাশে কিংবা রোদে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ঠিক নয়। এতে চাপ ও তাপজনিত কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি বাসায় ভর্তি সিলিন্ডার রাখিনা, কিছু খালি সিলিন্ডার রাখা আছে। আপনার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বেশী কথা বলতে রাজি হননি আলম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুন জানান, নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এটি অন্যায় কারও নিকট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।