শিরোনাম
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি | ০৫:২৬ পিএম, ২০২০-০৭-২৩
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বাতিঘর খ্যাত সেই বিদ্যালয়টি পদ্মার গর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
বুধবার (২২ জুলাই) মধ্যরাতে বিদ্যালয়টির ভবন মাঝ বরাবর ফেটে গিয়ে হেলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যালয়টি নদীর দিকে আরও হেলে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের নূরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি গ্রামে অবস্থিত এস.ই.এস.ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি হেলে পড়েছে পদ্মার দিকে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি। বন্দোরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টির কারণে শিবচর উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি, জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসত খাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪টি গ্রাম ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। বিদ্যালয়টি ছিল চরাঞ্চলের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন তিনতলা ভবনসহ আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ একটি উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চরের এই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা সবাই চরের বাসিন্দা। মূল ভূ-খণ্ড এখান থেকে বেশ দূরে হওয়ায় চরের ছেলে-মেয়েরা অন্যত্র গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেতো না। এই বিদ্যালয়টি হওয়ার পর থেকে চরের ছোট ছোট প্রায় ২৪টি গ্রাম থেকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে এসে লেখাপড়া করতো।
স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই বন্যার পানিতে ডুবে যেতো বিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা। গত বছর পদ্মানদী ভাঙতে ভাঙতে পেছন দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির কাছে চলে আসে। এরপর গত বছরই ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখে। চলতি বর্ষা মৌসুমেও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং চালানো হয়। তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে জিও ব্যাগ ফেলে তেমন সুবিধা করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বুধবার রাতে তিন তলা ভবনের বিদ্যালয়টির কিছু অংশ হেলে পড়ে।
বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল বাংলানিউজকে জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হতে থাকে স্কুলের ভবনের মধ্য থেকে। খবর পেয়ে অসংখ্য মানুষ ট্রলারে করে বিদ্যালয়টি দেখতে আসে। আমাদের সামনেই বিদ্যালয়টি মাঝখান থেকে ফাটল ধরে পেছন দিকে হেলে পড়ে।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টি মনোরম পরিবেশে একটি দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় ছিল। গতকাল রাতে বিদ্যালয়টি ভাঙন ধরলে এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়ে। চোখের সামনে এভাবে বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখে স্থানীয়রা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছে।
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : ফোরজি কাভারেজ সীমিত করায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমে গেছে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি। এতে ফে...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ম্যাস র্যাপিড ট্রান...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই ব্যবহারকারীদের আইডি স্বয়ংক্রিয়ভ...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছে। পানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন শিবগঞ্জ ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited