শিরোনাম
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি | ০৭:১৬ পিএম, ২০২২-১১-০৭
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৭ই নভেম্বর, ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতা মিলিত ঐক্যের এই বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উক্ত কর্মসূচি উপলক্ষে আজ লামায় পালিত হলো ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। আজ সভায় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রব, সভাপতি, লামা উপজেলা বিএনপি, এম রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক, লামা উপজেলা বিএনপি, মোঃ লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি, লামা উপজেলা বিএনপি, মোঃ শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, লামা উপজেলা বিএনপি, সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব, লামা উপজেলা যুবদল, সেফায়েত রাসেল, যুগ্ম আহবায়ক, লামা উপজেলা যুবদল, আরাফাত বুলবুল সদস্য সচিব, লামা উপজেলা ছাত্রদল, রায়হান সিদ্দিক সাদ্দাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, বান্দরবান জেলা ছাত্রদল, বক্তারা নানামুখী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনার ধারাবাহিকতায় ওই দিনই সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনাসদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করেন। স্বঘোষিত পদোন্নতি নিয়ে খালেদ মোশাররফ মেজর জেনারেলের ব্যাজ ধারণ এবং সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন। ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদকে গ্রেফতার করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ ও তার কিছু অনুসারী। পরদিন ৭ নভেম্বর সর্বস্তরের সৈনিক ও জনতা সম্মিলিতভাবে নেমে আসে ঢাকার রাস্তায়, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। তার পর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি।
দৈনিক অনুসন্ধান : সাখাওয়াত হোসেন (তুহিন) মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধান মন্ত্রীর উ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ : শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের রোজভ্ল্ট অ্যাভিনিউয়ের একটি রেস্টুরেন্টে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে. চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আস...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ "সমাজ সেবায় গড়ব দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ" এই শ্লোগানকে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited