শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১:৪৭ পিএম, ২০২০-০৮-২৪
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সামাজিক প্রচার অভিযান পাল্টে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। গৃহবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয়া, ইয়াবা, মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, ছিনতাইকারী গ্রেফতার সহ নানাবিধ পুলিশি সেবা নিয়ে আলোচনা চলে আসেন সদর মডেল থানা পুলিশ।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবিরের যোগদানের পর থেকে চলতি আগষ্ট পর্যন্ত পুলিশের কর্মকান্ড ছিল প্রশংসনীয়। গত ৮ মাসে ৬০২ জনকে মাদকসহ আটক, ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদঘাটন, ৫৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ প্রায় ৪ হাজার অপরাধী গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মার্চ মাস থেকে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজারকে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ মুক্ত রাখতে দিনরাত সমানতালে শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা। আর এতে নেতৃত্বে দিয়েছেন খোদ সদর মডেল থানার ওসি এসএ এম শাহজাহান কবীর। জেলার বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকিং এর মাধ্যমে বাধ্য করা হয়েছে ঘরে থাকতে। জরুরী কাজ ছাড়া বাড়ীর বাইরে বের হলেই মুখোমুখি হতে হয়েছে পুলিশি জেরার কাছে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে ঘরে বন্দী ছিলেন কক্সবাজারের মানুষ। আর তাই ঘরে বন্দি থাকার সুফল পাচ্ছে এখন কক্সবাজারবাসী। অবশ্য জনগণের সুরক্ষা দিতে গিয়ে সদর মডেল থানার অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে ছিলেন। এছাড়াও নিয়মিত স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ করেছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মাস ধরে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মধ্যে প্রচার অভিযান চালিয়ে আসছে জেলা পুলিশ। সাধারণত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। আগে সদর থানা এলাকায় যেখানে মাসে ১০০ থেকে ১৫০টি অপরাধ সংগঠিত হতো বর্তমানে তা কমে ৪৫ থেকে ৫০ তে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন মসজিদে সাধারণত বাদ-জুমা এই প্রচা অভিযান আয়োজন করা হয়। এখানে সাধারণত মসজিদের ইমাম ও পুলিশের কর্মকর্তারা জনসচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষকরা থাকছেন। এছাড়া বিভিন্ন খোলা মাঠ, মিলনায়তনে সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবিরের সঠিক দিক নির্দেশনায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও শহর এলাকায় নিরাপত্তায় অনন্য ভুমিকা রেখেছেন পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোবাইল টীম নিয়োজিত রাখা হয়েছিল সার্বক্ষণিক।
এছাড়াও অসংখ্য ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে আলোচনায় চলে আসেন কক্সবাজার থানা মডেল থানার ওসি শাহজাহান কবির। এর মধ্যে গত বছর সদরের কাজীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পর্যটন শহরের সার্কিট হাউজের সামনে ছিনতাই মামলার আসামীর দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯ টায় পর্যটকদের ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার পরপরই মাত্র ১৫ ঘন্টার ব্যবধানে ৪ জন ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র,২টি ছোরা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সৈকতের ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসের পেছনে (শৈবাল পয়েন্টে) ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিন পর্যটকের সর্বস্ব ছিনতাইয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকায় ১৭ মার্চ রাতে কায়সার (২৪) নামের এক যুবককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনছারুল হকসহ একদল পুলিশ।
ওই সময় দুইটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা কার্তূজ, রাম দা ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম ও অফিসারদের মাঝে দারুণ সমন্বয় থাকায় সেবা প্রার্থীদের ভিড়ছিল থানায়। দালাদের পাকড়াও করার কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানীর চেয়ে সেবা পেয়েছে মানুষ। পুরো সদর থানা এলাজায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম, মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধী গ্রেফতার এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে থানায়। ভবিষ্যতে যাতে এসব অপরাধী ছিনতাই, ডাকাতি না হয়।
কক্সবাজারের মূল সমস্যা জমি দখল, হোটেল দখল বাণিজ্য। গত ভুমি দখল, হোটেল দখল বাণিজ্য নির্মল ও প্রতিরোধে পুলিশ এগিয়ে আসায় এসব অপরাধ শুন্য কোটায় নেমে এসেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ গত বছরে অক্টোবর থেকে চলতি আগষ্ট পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬৮৩০ পিস, চেলাই মদ উদ্ধার ৬১১৯ লিটার, ফেনসিডিল ৪৫ বোতল, গাজা ১৪ কেজি, বিদেশী মদ ১৩৪ বোতল।
এঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৬০২ জনকে। এ সংক্রান্তে মাদক মামলা দায়ের করা হয় ৪০২ টি। গত আট মাসে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারেও আলোচনা এসেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
গত আট মাসে দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ৫৩টি (এলজি), দুটি পিস্তল, একট পাইপগান, ৭৭ রাউন্ড কার্তুজ, সাতটি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ সংক্রান্তি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫৫টি। গ্রেপ্তার করা হয় ১২৬ জনকে। এছাড়াও ডাকাত ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২৯ জনকে। ওয়ারেন্টভুক্ত ২৭২১ আসামী গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিল ৮৭ জন।
এদিকে, কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া বাজারে গণপিটুনিতে আহত পরবর্তী নবী হোসেন নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় হঠাৎ চৌকষ ও মানবিক ওসি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির কে ক্লোজড করার ঘটনাটি পুরো কক্সবাজার সদরবাসী স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
জনগণ মারলো, আর একজন জনবান্ধব ওসি শাহজাহান কবিরকে ক্লোজড করা হলো। এনিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : জাকির হোসেন সুমন, ব্যাুরো চিফ ইউরোপ: ইতালিতে বাড়ছে বাংলাদেশীদের সংখ্যা, সেই সাথে বাড়ছে ব্যবসা প...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানেও চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার প্রত...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : বহুতল ভবনের মাঝ বরাবর নির্মাণ করা হচ্ছে বিলাসবহুল ইনফিনিটি সুইমিংপুল। অর্থাৎ আপনি পানিতে নেমে সা...বিস্তারিত
মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : এক বছরে দেশে বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে বৈধভাবে ৪৬ লাখ ভরির সমপরিমাণ ৫৪ টন সোনার বার এসেছে। এর বর্তমা...বিস্তারিত
অনুসন্ধান অনলাইন ডেস্ক : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পবিত্র রমজান উপলক্ষে দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। একজন ওষুধ ব...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited