শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২:২৯ পিএম, ২০২০-০৯-০১
কাউছার মাহমুদ দিদার, সন্দ্বীপ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ গাছুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজির আহমদ কবিরাজ গুপ্তধনের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১১ সালে ১০ জানুয়ারী নজির আহমদ কবিরাজ নিজ এলাকায় খাজা খিজির (আঃ) হাজিরা আসন নাম দিয়ে খানকায়ে দরবার বসিয়ে দরবেশের বেশে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার লোকজন জড়ো করে তার প্রতারনামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন জানান খানকাহ বসিয়ে হাজিরা-সাধনার জ্ঞান অর্জন করেছে বলে গুপ্তধন দ্বারা ধনী করে দিবে প্রলোভন দেখাত।
বিভিন্ন লোকজনকে লালসালু দ্বারা মোড়ানো একটি করে মাটির পাতিল দিয়ে ভিতরে ম্যাগনেট পয়সা পরশ পাথরের নামে একজনের অগোচরে অন্যজন কে একই প্রক্রিয়ায় পাতিলে স্বর্ণাংলকার দিয়েছে বলতো এবং একের কথা অন্যকে না বলার নির্দেশ দিয়ে ধোকাবাজি করে।
সরেজমিনে আরো জানা গেল মাটির পাতিল গুলো তাহাদের ঘরে কোনে মাটির নিচে পুঁতে লুকিয়ে রাখা ও অনুমতি ছাড়া পাতিল তুললে বা হাত দিলে অকল্যাণ হবে এবং সন্তানের মৃত্যু হবে বলে মানুষ কে আতংকিত করে আসত বন্ড প্রতারক চক্র। দৈব্যজ্ঞান করে একজনের সাথে অন্যজনের দেখা হলে গুপ্তধন হারানোর ভয় দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারণার মাধ্যমে।
কয়েক বছর অতিবাহিত হলে লোকজন নজির আহমদ কবিরাজের চালচলন ধনী ব্যক্তির মতো দিনযাপন দেখে সন্দেহ হয়েছে অনেকের। এক ভুক্তভোগী আদেশ অমান্য করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা পাতিল তুলে দেখে কিছু নেই। অবস্থার জানাজানি হলে গুপ্তধন নামের প্রতারনার শিকারের ভুয়া নিশ্চিত জেনে গত ২২রা সেপ্টেম্বরে ২০১৯ সালে খানকাহ গিয়ে আলাউদ্দিন নামের প্রতারিত এক ব্যক্তি নজির আহমদ কবিরাজের কাছে গুপ্তধন লাগবেনা বলে টাকা ফেরত চাইলে, প্রতারক তা অস্বীকার করে বলে জানা গেছে।
নজির আহমদ কবিরাজের বিরুদ্ধে অপরাধ দন্ড বিধি আইনের ৫০৮/৪০৬/৪২০/৩২৩/৩০৭/৫০৬ ধারার ২য় ভাগে সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সন্দ্বীপ বরাবরে মামলা রুজু করেন আলাউদ্দিন।
এছাড়াও স্হানীয় সাংসদের কাছে অভিযোগ নিয়ে যান প্রতারণার খপ্পরে পড়া সাধারণ মানুষ। গাছুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজধন বরাবর ও অভিযোগ করেন কয়েকজন । প্রতারনায় শিকার হলেন তথ্যসূত্রে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার ১৪ জন। তাদের মধ্যেই আলাউদ্দিন (৪২) ফসিলউল আলম, মোঃ ইকবাল , হাফেজ জামাল আবদুর নাসির, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ বেলাল, শ্যামল জলদাস, অভিলাষ জলদাস, জাহাঙ্গীর, লিটন, জাবেদ, আলাউদ্দীন (২) মোঃ বাবুল, সফিক, ও রাশেদ। অসহায় প্রত্যেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্হ ও সর্বহারা। বর্তমানে প্রতারক নজির আহমদ কবিরাজ পলাতক আছে। তাকে ধরে আইনের আওতায় আনতে আকুল আবেদন করে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন।
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে আ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গৃহবধূ হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন নামের এ...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : ফয়সাল আজম অপু, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন এক মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার...বিস্তারিত
সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি : ঈদগাঁও প্রতিনিধি। ব্যাটমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরের ব্যাটের আঘাতে আরেক কিশোরের ম...বিস্তারিত
সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও। কক্সবাজারের ঈদগাঁও তরকারি বাজার সড়কে মুক্ত স্বর্ণ শিল্পালয় নামের এক প্রত...বিস্তারিত
দৈনিক অনুসন্ধান : আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে এক ছিনতাইকা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 dailyonusondhan | Developed By Muktodhara Technology Limited